,

বানিয়াচংয়ের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শণ গুলো সংরক্ষণ করা হোক

হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং গ্রাম এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম গ্রাম হিসেবে পরিচিত। এর আয়তন ৪৮২.২৫ বর্গ কিলোমিটার। প্রায় ২ লাখ ৬৮ হাজার মানুষের বসবাস এই গ্রামে। অসংখ্য নদ-নদী বিধৌত ও বিল-ঝিল, খাল-নালা অধ্যুষিত এক নয়নাভিরাম সুবর্ণ ভূমির জনপদ ‘বানিয়াচং’ গ্রাম। কেউ কেউ এ গ্রামকে এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম গ্রাম হিসেবে চিনেন। তবে যেটির জন্য এই গ্রাম সবার কাছে জনপ্রিয় ও সুপরিচিত সেটি হচ্ছে প্রাচীন পুরাতাত্ত্বিক স্থাপত্য নিদর্শণগুলোর জন্য। যা পর্যটক ও দর্শনার্থীদের মোহিত করার মত বৈচিত্রময় লৌকিক সম্ভার।
বানিয়াচংয়ে উল্লেখযোগ্য প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা মসজিদ সমূহ হলো, মিয়াখানী শেখের বাড়ি মসজিদ, খান বাড়ি মসজিদ, আদমখানি কালিকা পাড়া মসজিদ, বাসিয়া পাড়া মসজিদ, বড়বাজার রাজবাড়ি সংলগ্ন মসজিদ, লস্কর বাড়ি মসজিদ, বিবির দরগা মসজিদ ও পুরাতন বাগ মসজিদ।
অন্যদিকে ধর্মীয় স্থাপনা মন্দির সমুহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, শ্যামবাউল আখড়ার মন্দির, চৌধুরী পাড়া স্কুল সংলগ্ন মন্দির, মহারত্নপাড়া মন্দির, বানেশ্বর বিশ্বাসের পাড়া মন্দির, রায়ের পাড়া মন্দির ও ঠাকুর পাড়া মন্দির।
অন্যান্য লৌকিক স্থাপত্য সমূহ হচ্ছে, ঐতিহাসিক রাজবাড়ী, লোকনাথ রমন বিহারী স্কুল সংলগ্ন গোবিন্দ খাঁর রাজবাড়ী, মহারত্ন বাড়ি, বিথঙ্গল আখড়া ও ভূ-পর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ি। এগুলো সবই প্রাচীন বাংলার ইতহাস-ঐতিহ্যের পরিচয় বহন করে থাকে। যা আমাদের নানা অজানা বিষয়কে জানতে সহায়তা করে থাকে।
প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শণ একটি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সবার সামনে তোলে ধরার ক্ষেত্রে অন্যতম ধারক ও বাহক হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাস ও জাতিসত্ত্বা বিকাশে সুদীর্ঘ পথ-পরিক্রমায় ইতিহাস উদঘাটনে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শণগুলো অনন্য ভূমিকা পালন করছে, যার ব্যতিক্রম নয় বানিয়াচংয়ের প্রাচীন পুরাতাত্ত্বিক স্থাপত্য নিদর্শণগুলোও।
এমতাবস্থায় সরকারের উচিত এগুলোর যথাযথ সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা, যাতে করে আগামি প্রজন্ম এগুলোর উপর ভিত্তি করে তার শেকড়কে খুঁজে বের করতে পারে ও সঠিক ইতিহাস পুনর্গঠন করতে পারে।
লেখক
মোঃ আবু হানিফ বিন সাঈদ
শিক্ষার্থী : জনাব আলী সরকারী কলেজ
বানিয়াচং, হবিগঞ্জ।


     এই বিভাগের আরো খবর